বৃহস্পতিবার, ০৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:০০ অপরাহ্ন
স্টাফ রিপোর্টার;
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-২ আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের বিরুদ্ধে স্বতন্ত্র ও ঈগল প্রতীকের প্রার্থীর কর্মিদেরকে মারধর, অর্ধশতাধিক
মটরসাইকেল ভাঙচুর, আগুন ও গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। মঙ্গলবার বেলা দুটার সময় বানারীপাড়ার উদয়কাঠীতে এই ঘটনা ঘটে। হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর সমর্থকরা আহত হয়েছে। এদের মধ্যে সাত জনকে বানারীপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, বেলা ১২ ঘটিকার সময় উদয়কাঠী ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ড লবনসারাতে বানারীপাড়া আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলাদ হোসেন সানা ও তার ভাই উদয়কাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাহাদ আহম্মেদ ননী নেতৃত্বে কালাম বেপারী, জুয়েল ফকির, লিমন কাওসার, জসিম মিরসহ ৫০-৬০ জনের একটি নৌকার সমর্থক দল আমার কর্মী-সমর্থকদের ওপর সসস্ত্র হামলা চালায়।
এ সময় আমার কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে মামুন হাওলাদার, খলিলুর রহমান, মাসুদ রানা, মীর আলমগীর ও হাফিজুর রহমান ও হাফিজুর রহমানের ছয় মাসের নবজাতক বাচ্চা আহত হন। হাফিজুরের ছয় মাসের বাচ্চাকে আছাড় দিয়ে মাটিতে ফেলে দেয়া হয়।
নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বানচাল করতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা হোসেন সানা ও উদয়কাঠী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রাহাদ আহম্মেদ ননী দফায় দফায় গুলি করছে।
এছাড়া, বানারীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আক্তার হোসেন মোল্লা, কামাল মোল্লা ও কাউন্সিলর জাকির মোল্লা, স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাইয়াজুল হক রাজুর কর্মী সাইজ উদ্দিনকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে। এদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুকের নেতৃত্বে জুয়েল ফকির ও কালাম বেপারীসহ ২০-২৫ জনের একটি গ্রুপ হায়দার ঘরামিসহ ৫-৬ জনকে পিটিয়ে আহত করে।
এ ব্যাপারে বানারীপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাইনুল ইসলাম বলেন, বানারীপাড়ার বিভিন্ন স্থানে সকাল থেকে নৌকা ও ঈগল সমর্থকদের মধ্য বিচ্ছিন্ন এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা কালে দুই গ্রুপের সংঘর্ষ হয়।পরে বিশারকান্দিতে ঈগল সমর্থকদের গাড়িতে আগুনের ঘটনা ঘটে । ঘটনাস্থলে পুলিশি, বিজিবি, আনসার , ওসি ও এসি ল্যান্ড গঠনাস্থল পরিদর্শন করেছেন ।তবে পরিবেশ এখনো থমথমে রয়েছে। গাড়ি পোড়ানো ও হামলার বিষয় থানায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ ব্যাপারে স্বতন্ত্র প্রার্থী ফাইয়াজুল হক রাজু সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, বানারীপাড়ায় আমার জনসমর্থন দেখে নৌকার প্রার্থীর মাথা নষ্ট হয়ে গেছে তাই তারা আমার কর্মী ও সমর্থকদের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুর, গাড়িতে আগুন ও গুলিবর্ষণ করেছে। এটা দুঃখজনক ও নিন্দনীয়। আমি প্রশাসনিকভাবে অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে চায়। আমি কোন সহিংসতা সৃষ্টি করতে চাই না আমি জনগণের সেবক হয়ে কাজ করতে চাই।